ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন! তবে সেজন্য প্রয়োজন স্মার্ট আর্থিক পরিকল্পনা, সুশৃঙ্খল সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা মনোভাবের সমন্বয়। এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কাজ করতে হবে একজন ধনী ও সমৃদ্ধ ব্যক্তি হওয়ার জন্য আপনাকে একটি স্পষ্ট আর্থিক পরিকল্পনা দিয়ে শুরু করতে হবে। আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং ৪০ বছর বয়সের মধ্যে কত টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। একটি টাইমলাইন তৈরি করুন। এই লক্ষ্য আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে অনুপ্রাণিত করবে।
ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে:
আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ:
একজন ধনী ও সমৃদ্ধ ব্যক্তি হওয়ার জন্য আপনাকে একটি স্পষ্ট আর্থিক পরিকল্পনা দিয়ে শুরু করতে হবে। আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং ৪০ বছর বয়সের মধ্যে কত টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। একটি টাইমলাইন তৈরি করুন। এই লক্ষ্য আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে অনুপ্রাণিত করবে।
আয় বৃদ্ধি করুন:ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন
সম্পদ সংগ্রহের সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা। আপনার কর্মজীবনে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ সন্ধান করুন। নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য কাজ করুন এবং সাইড হাস্টলস বিবেচনা করুন। বিভিন্ন আয়ের উৎস আপনার উপার্জনকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
আপনি যদি সংরক্ষণ করতে চান তবে আপনাকে আপনাকে হিসাব করে খরচ করতে হবে। আপনাকে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং সত্যিই প্রয়োজন নেই এমন জিনিসে অতিরিক্ত ব্যয় এড়াতে হবে। আপনি আপনার আয় থেকে যত বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন, তত বেশি বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং আপনার সম্পদ বাড়াতে পারবেন।
বিজ্ঞতার সঙ্গে বিনিয়োগ করুন:
সম্পদ আহরণের জন্য বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। একটি বৈচিত্রপূর্ণ বিনিয়োগ কৌশল বেছে নিন যাতে স্টক, বন্ড, রিয়েল এস্টেট এবং অন্যান্য সম্পদ অন্তর্ভুক্ত থাকে। তাড়াতাড়ি শুরু করুন এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সম্পদ বাড়াতে চেষ্টা করুন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একজন আর্থিক উপদেষ্টা বা পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে পরামর্শ করুন।
নিজেকে শিক্ষিত করুন:
আমরা সবাই জানি এবং মেনে নিতে হবে যে আর্থিক বিশ্ব সবসময় বিকশিত হচ্ছে। স্মার্ট বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে, আপনাকে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে। পড়ুন, কোর্স করুন এবং আর্থিক খবর রাখুন। বিভিন্ন বিনিয়োগের সুযোগ এবং কৌশল সম্পর্কে শিখুন। এগুলো আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে, আপনার আর্থিক ঝুঁকি কমাতে এবং আপনার রিটার্ন সর্বাধিক করতে সাহায্য করবে।
ধনী হওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন
ধনী হওয়ার জন্য কত জন কত ভাবে চেষ্টা করছেন। অনেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে বৈধভাবে চেষ্টা করছেন । যেমন- বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে তিনি অনেক উপার্জন করেছেন। বিলিয়নার ইলন মাস্ক জ্ঞান অর্জন করে ZIP2 এর মত সফ্টওয়্যার প্রতিষ্ঠান তৈরি করে খুব দ্রুত অনেক অর্থের মালিক হয়েছেন । উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে টেসলা ও স্পেস এক্স এর মত বিলিয়ন ডলারের কোম্পানী তৈরি করেছেন। জীবনে সত্যিকারে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে বৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে ধনী হতে হবে। ধনী হতে না পারলে উন্নত জীবন যাপন করা যায় না। এছাড়া অনেক মানুষকে সাহায্য করার জন্যও ধনী হতে হবে। কিন্তু ধনী হতে কোন সংক্ষিপ্ত পথ নেই। এটা জ্ঞানী- গুনীরা বলেছেন। এর জন্য পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হয়।
নিচে ধনী হওয়ার সরল নিয়ম উল্লেখ করা হল:
লক্ষ্য স্থির করুন/ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন
আয় বাড়ানোর জন্য আপনাকে আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আপনাকে আগে জানতে হবে, কোন কাজ আপনার ভালো লাগে। চাকরি বা ব্যবসা যেটা ভালো লাগে তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনাকে আপনার কাজে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।জ্ঞান অর্জনের অনেক উপায় আছে। কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে করতে পারেন। সম্ভব না হলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অথবা বই পড়ে করতে পারেন। প্রাতিষ্ঠানিক সনদ থাকতে হবে তার কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। জ্ঞান অর্জনই হল আসল কথা। আপনি যে লক্ষ্য স্থির করেছেন তার উপর কিছুটা হলেও জ্ঞান অর্জন করুন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখুন।
যা পারেন শুরু করুন:>ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন তবে সেজন্য প্রয়োজন স্মার্ট আর্থিক পরিকল্পনা, সুশৃঙ্খল সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা মনোভাবের সমন্বয়। এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু কাজ করতে হবে একজন ধনী ও সমৃদ্ধ ব্যক্তি হওয়ার জন্য আপনাকে একটি স্পষ্ট আর্থিক পরিকল্পনা দিয়ে শুরু করতে হবে।
অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর জন্য আপনার পছন্দের কাজ শুরু করুন যেমন- ধরুন ইন্টারনেট মার্কেটিং, ওয়েবসাইট তৈরি করা, ব্লগ লেখা, অনলাইন বিপণন ইত্যাদি।
দক্ষতা বাড়ান:
কাজ শিখতে পারলে আপনার ভালো লাগবে। দিনে দিনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আপনি যত দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন, আপনার উপার্জন তত বেশি হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ক্রেতার কাছে আপনি ভ্যালু এর বিনিময়ে টাকা নিচ্ছেন। আপনি যত পরিমান ভ্যালু তৈরি করবেন, তত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বড় স্বপ্ন দেখুন:
বেশি উপার্জনের জন্য নিজের একটি বড় স্বপ্ন ধারণ করতে হবে। পথে অনেক বাধা বিপত্তি, ঘাত-প্রতিঘাত আসবে। একটি বড় স্বপ্ন সব বাধা কে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে। যত বড় স্বপ্ন দেখবেন, আপনি তত বড় হতে পারবেন।
ধনী হতে কত টাকা লাগে
আমরা এক জীবনে অনেক কিছু চাই। এত কিছু চাই যে, প্রকৃতপক্ষে কী চাই সেটার সঠিক হিসাব মিলাতে পারিনা। আমরা বড় হতে চাই কিন্তু কত বড় হতে চাই দেখবেন সেটা পরিষ্কার করে বলতে পারবোনা। অনেক টাকা চাই। কিন্তু ঠিক কত টাকা চাই? দশ লাখ, বিশ লাখ, এক কোটি নাকি একশো কোটি সেটাও জানিনা। কী সাংঘাতিক একটা বিভ্রান্তিতে আমরা নিজেরা আটকে থাকি একবার ভেবে দেখুন।
আসলে আমরা অনেক কিছু চাই, অনেক কিছু। কিন্তু কোনকিছু নির্দিষ্ট করে বলতে পারি না। মানে চাওয়াটা পরিষ্কার না। কত বড় হতে চাই, জানিনা। কত ধনী হতে চাই, জানিনা। কোন কিছু নির্দিষ্ট করা নেই। এটা একটা অনেক বড় সংকট।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, আপনি কি জানেন যে ঠিক কত টাকা হলে আপনি নিজেকে ধনী মনে করবেন আপনি কি জানেন, কত বড় হলে আপনি মনে করবেন আপনি বড় হয়েছেন জীবনে সাংঘাতিকভাবে সফল হতে চান কিন্তু সেই সফলতাটা কী উত্তর হচ্ছে আপনি জানেন না। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, যারা এটা জানে যে সে কত টাকার মালিক হতে চায়, যারা জানে যে সে জীবনে কোথায় পৌঁছাতে চায়, বড় একজন ডাক্তার হতে চায় নাকি একজন সচিব হতে চায়, নাকি একজন মন্ত্রী হতে চায়- অর্থাৎ নির্দিষ্ট করে জানে, সে কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর যাত্রা শুরু করে একসময় সেখানে পৌঁছেও যায়।
কিন্তু যারা জানে না, তারা কোথাও পৌঁছায় না। কোথায় পৌঁছাবে সে তো সঠিকভাবে জানে না সে কোথায় যাবে।তাই প্রত্যেকের জীবনে তার যে উদ্দেশ্য সেই উদ্দেশ্যের একটা মাপকাঠি থাকতে হবে, একটা সীমারেখা থাকতে হবে। সীমারেখা না থাকলে মানুষ শুধু ছুঁটতে থাকে। ছুঁটতে ছুঁটতে সে এমন একটা জায়গায় পৌঁছায় সেখানে সে আসলে পৌঁছাতে চায়নি। কারণ আপনি যদি সঠিক দিকে যাত্রা না করে ভুল দিকে যাত্রা শুরু করেন, তাহলে আপনি ভুলভাবে অনেক দূর চলে যাবেন।
কিন্তু আপনার কাঙ্খিত জায়গাটায় আপনি পৌঁছাতে পারবেন না। আপনি হয়ত প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন জীবনে, অনেক কষ্ট করছেন, অনেক লোকজন আপনার জন্য কষ্ট করেছে, আপনি অনেক আয় করছেন কিন্তু আপনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না যে কত টাকা হলে আপনি নিজেকে ধনী মনে করবেন।
কিন্তু আপনার মনের মধ্যে একটা আকাঙ্ক্ষা আছে যে আপনি ধনী হবেন। তাহলে আমার বক্তব্যের পয়েন্ট কী আমার বক্তব্যের পয়েন্ট হচ্ছে আপনাকে একটা পরিমাণ বা অ্যামাউন্ট ঠিক করে নিতে হবে, যে পরিমাণ টাকা আয় করলে আপনি ভাববেন আপনি ধনী হয়েছেন। একটা জায়গা ঠিক করে নিতে হবে, যে জায়গায় পৌঁছালে আপনি মনে করবেন যে হ্যাঁ এটাই আপনার জায়গা, এখানে আপনি পৌঁছাতে চেয়েছিলেন। আবার ধরুন আপনি সুখী হতে চান। কী পেলে আপনি নিজেকে সুখী মনে করবেন সেটা আপনাকে জানতে হবে। আপনি একটা বাড়ি পেলে নিজেকে সুখী মনে করবেন নাকি পাঁচটা বাড়ি পেলে নিজেকে সুখী মনে করবেন। আবার এমন হতে পারে যে আপনি যখন অসংখ্য মানুষকে সেবা করতে পারবেন তখন নিজেকে সুখী মনে করবেন।
এমন যেকোন কিছু হতে পারে কিন্তু এখানেও একটা সীমারেখা টানার দরকার আছে। কারণ যখন আপনি সীমারেখা টানছেন না, তখন আপনি শুধু ছুঁটছেন আর ছুঁটছেন কিন্তু নিজের যে অনুভব সেটা আপনি পাচ্ছেন না এবং নিজে যেখানে পৌঁছাতে চান সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। এইজন্যে প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটা সীমারেখা দরকার, চাওয়াটা নির্দিষ্ট হওয়া দরকার, তার সুখী হবার জন্যে এবং সে যে সফল হয়েছে সেটা বোঝার জন্যে, ধনী হয়েছে সেটা জানার জন্যে।কেউ হয়ত মনে করবে যে সে পাঁচ কোটি টাকা পেলে সে ধনী। আবার কেউ মনে করবে, পাঁচ কোটি টাকা তো কোনো টাকাই না, এক’শ কোটি টাকা পেলে সে তখন নিজেকে ধনী মনে করবে। আর একজনের কাছে হয়তো এক’শ কোটি টাকা কোন টাকাই না, এক হাজার কোটি টাকার মালিক হলে সে তখন নিজেকে ধনী মনে করবে। তার মানে এটা একটা দৌড় বা রেস। এই যে ভ্রমণ বা জার্নি, এই জার্নির কোন আদি-অন্ত নেই। কারণ মানুষ যত পায় ততই তার পাবার স্পৃহা বেড়ে যায়, তার আরও পেতে ইচ্ছে করে। তাই ধনীর কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়াটা কঠিন।যদি কেউ মনে করে সে ধনী, তাহলেই সে ধনী। যার কিচ্ছু নেই, সেও যদি নিজেকে ধনী মনে করে, তাহলে সে-ই ধনী। কিন্তু যার অনেক আছে কিন্তু নিজেকে ধনী ভাবতে পারে না, তার সংকট অনেক, তার অসুখের সীমা পরিসীমা নেই।
সে ছুঁটতে ছুঁটতে ক্লান্ত কিন্তু সফলতা তাকে স্পর্শ করতে পারে না। কারণ সে অস্থির। অস্থির মনে কখনো সফলতা বসবাস করে না, সুখ-শান্তি বসবাস করতে পারে না। আপনি ধনীত্বের সংজ্ঞা হয়তো মেলাতে পারছেন না কিন্তু ওয়েলদি’র একটা সংজ্ঞা আছে। আপনি যা আয় করছেন সেই আয়ের ম্যানেজমেন্টটা আপনি এমনভাবে করেছেন যে, যখন আপনি আয় করবেন না, তখনও আপনার জীবন আয় করাকালীন সময়ে যেভাবে চলছিল, সেভাবে চলবে। যদি সেটা চলে, তার মানে যদি আজকেই আপনি ইনকাম বন্ধ করে দেন এবং আপনার জীবন যেভাবে চলছিল সেভাবে চলে, তাহলে বুঝবেন আপনি ওয়েলদি হয়েছেন। ওয়েলদি হওয়া সহজ, ধনী হওয়া সহজ নয়। কিন্তু আপনি যদি ঠিক করে নিতে পারেন, নিজের একটা বেঞ্চমার্ক তৈরি করে নিতে পারেন, একটা সীমারেখা তৈরী করে নিতে পারেন যে এই হলে আপনি ধনী হবেন তাহলে আপনি যখন সেখানে পৌঁছাবেন তখন ধনীত্বের ছোঁয়া পাবেন।
আপনি যখন টার্গেট সেট করে দৌঁড়াবেন তখন আপনি আপনার লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন আর টার্গেট সেট না করে দৌঁড়ালে আপনি আপনার পছন্দমত কোথাও পৌঁছাবেন না। আপনি ধনী হবেন না, আপনি সুখী হবেন না। কারণ আপনি যদি না জানেন কোথায় যাবেন, তাহলে তো নৌকা নিয়ে সাগরের মাঝখানে ঘোরাঘুরি করবেন, কোনো গন্তব্যে পৌঁছাবেন না।
১০ বছরে কোটিপতি হওয়ার উপায়>ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন
সৎভাবে কোটি টাকা আয় করা সাধারণ মানুষের পক্ষে মোটেও সহজ নয়। তবে কোটিপতি হওয়ার রঙিন স্বপ্ন দেখার বা ধরার ইচ্ছে কার না হয়! একজন সাধারন মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কোনো ভাবে ১০ বছরের ভিতরে কোটি টাকার মালিক হওয়া কি সত্যিই সম্ভব,এযাবৎ আমি যা যা বলেছি সবই আয় সংক্রান্ত। আয়ের পরে টাকা জমানোর কথা বলেছি বটে কিন্তু কোটিপতি হওয়ার বা আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করার উদ্দেশ্যে সবথেকে বড় অস্ত্র হচ্ছে শুধুমাত্র নিজে কাজ না করে নিজের আয় করা টাকাকে কাজে লাগিয়ে তাদের মাধ্যমে আরও টাকা আয় করা।
কোটিপতি হওয়ার প্রধান শর্ত:
কোটিপতি হওয়ার জন্য প্রথমত আয় যত বেশি হবে তত ব্যাপারটা সহজ হবে। আয় খুব কম হলে অসম্ভব না হলেও বাস্তবে কোটিপতি হওয়াটা খুবই কঠিন কাজ হবে। তবে যেহেতু আমাদের মত সাধারন গড়পড়তা মানুষের গড় আয় সাধারণত খুব কমই, তাই প্রধান চাকরি বা কাজ থেকে আসা আয় কোটিপতি হওয়ার জন্য অপ্রতুল হলেও তার পাশাপাশি অন্য উপায় অবলম্বন করে কিভাবে এই আয় বাড়ানো যেতে পারে সে ব্যাপারে পরে আসছি।
5.কিভাবে বুঝবেন আপনি ধনী
আপনি ধনী নাকি গরিবএ লেখায় তুলে ধরা হলো যা দেখে আপনি নির্ণয় করতে পারবেন, আপনি ধনী নাকি গরিব।
আপনি অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন:
অধিকাংশ মানুষই অর্থ সঞ্চয় করতে পারে না। আয় যতই হোক না কেন, ব্যয়ও তার সঙ্গে বাড়ে পাল্লা দিয়ে। এক্ষেত্রে আপনার আয় অনুযায়ী ব্যয় করার পর সঞ্চয় করতে পারা একটি বিশাল বিষয়।
আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় কম
আপনি যা চান তা অর্জন করতে পারেন
আপনি একটি দামি গাড়ি কিনতে চাইলেই যদি তা কিনতে পারেন তাহলে আপনি ধনী, একথা সবাই মানবে। কিন্তু আপনি যদি একটি গাড়ি কিনতে চাইলে তা পাঁচ বছর টাকা জমিয়ে কিনতে পারেন তাহলেও আপনি ধনী। এর কারণ সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে সবাই এগোতে পারে না। আপনি যদি এ কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে তা আপনাকে ধনী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করে।
আপনি অবসরের বন্দোবস্ত করে রেখেছেন
কর্মজীবনে প্রবেশের পর আপনার অবসরের চিন্তাভাবনা করেছেন কি আপনি যদি সঠিকভাবে অবসরের চিন্তাভাবনা করে রাখেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ধনী। কারণ অবসরের পর জীবন কাটবে কিভাবে, তা নিয়ে চিন্তা করতেই বহু বছর পার করে দেন বহু মানুষ। আপনি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
টাকা আপনার ধ্যানজ্ঞান নয়
আপনার সবকিছু অর্থের ওপর চলে না। আপনি শুধু অর্থ নয় আরও বহু বিষয় নিয়ে ভাবেন। আর এ বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে আপনি যে ধনী, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ অর্থ সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করলে তা মানসিক দৈন্যের পরিচয় দেয়।
অর্থকে আপনি সহায়ক হিসেবে মানেন
মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তাই বলে অর্থই সবকিছু নয়। অর্থ ছাড়াও আপনার গর্ব করার মতো বহু বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য অর্থ প্রয়োজন হয়। কিন্তু অর্থ এসব বিষয়ের চালিকাশক্তি নয়। এ বিষয়টি আপনি যদি মানেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ধনী।by ধনী-হওয়ার-সহজ-উপায় জেনে নিন