আপনি কি প্রেমের কবিতা ক্যাপশন খুঁজছেন
কারন, প্রেম—একটি অনুভূতি যা মানুষের হৃদয়কে নতুন করে জাগিয়ে তোলে। সেই প্রাচীন কাল থেকে প্রেম নিয়ে অসংখ্য কবিতা রচিত হয়েছে, যেখানে হৃদয়ের গভীরতম আবেগ, ভালোবাসার মাধুর্য এবং বিচ্ছেদের বেদনাকে শব্দের মাধ্যমে চিত্রিত করা হয়েছে। প্রেমের কবিতা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ককেই তুলে ধরে না, বরং মানুষের মনোজগতের প্রতিটি কোণ স্পর্শ করে। ভালোবাসার যে অনন্ত রূপ, তা কখনো হাসিতে, কখনো অশ্রুতে এবং কখনো নিঃশব্দে প্রকাশিত হয়।
তাইতো আমাদের আজকের এই লেখায়, যাবতীয় প্রেমের কবিতা ক্যাপশন নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনাদের ভালো লাগবে নিশ্চিত; আর ভালো লাগলে ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
1.প্রেমের কবিতা ক্যাপশন
প্রেমের কবিতার মাধ্যমে আমরা শুধু নিজেদের অনুভূতিগুলোই প্রকাশ করি না, বরং অন্যের প্রেমকেও উপলব্ধি করি। এটি একধরনের সেতুবন্ধন, যা ভাষা, সংস্কৃতি, এবং কালের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। এই প্রেমের কবিতা ক্যাপশন গুলো আপনাদের জন্য শেয়ার করা হল।
😘🤝💝ლ❛✿
একটি চুম্বন দাও
শীতার্ত রাত্রিতে আমি তোমার দরোজায়
সারারাত দাঁড়িয়ে থাকবো।
একটি চুম্বন দাও
ঝোড়া হাওয়ার মধ্যে আমি একা -একা
সমুদ্রে নৌকো ভাসাবো।
–অসীম সাহা
😘🤝💝ლ❛✿
❤️
❤️🖤
❤️🖤❤️
সারাদিন তবু কাটে
সন্ধ্যা ঠেকে যায়
ভালোবাসাহীন তবু বাঁচি
ভালোবাসা পেলে মরে যাই।
–নির্মুলেন্দু গুণ
❤️🖤❤️
❤️🖤
❤️
💖❖💖❖💖
ভালোবাসি বলার আগেই
ফুরিয়ে যায় আমাদের ভালোবাসার সময়,
প্রেমের আগেই শুরু হয়
অন্তর বিরহ-
–মহাদেব সাহা
💖❖💖❖💖
💟💟─༅༎•🍀🌷
বিবাহে বিশ্বাস নেই, জানাই প্রস্থাব
এসো যেন কাঁকড়ার মতো দুইজন
খোলা আকাশের নীলে উদ্যত মিলনে
যে যার খোলের ছিলা খেলায় নির্জন।
–সুতপা সেনগুপ্ত
💟💟─༅༎•🍀🌷
✺
✺━♡︎✺
✺━♡︎❤️♡︎━✺
✺━♡︎🔸💠🔸♡︎━✺
ভালোবাসা নয়তো এখন
ছেলের হাতের মোয়া
তোমার দীঘল কালো চুল
সর্বনামের ছোঁয়া।
–শিকদার আবুল বাশার
✺━♡︎🔸💠🔸♡︎━✺
✺━♡︎❤️♡︎━✺
✺━♡︎━✺
✺
🌿|| (✷‿✷)||🌿
ভালোবাসা ভালো নয়
ভালেবাসায় কষ্ট বাড়ায়-নিন্দুকে কয়।
আমি বলি-ভালোবকাসাকে করো না ভয়
ভালোবাসা দিয়েই কষ্টকে করতে হবে জয়।
–রফিকুজ্জামন হুমায়ুন
🌿|| (✷‿✷)||🌿
💖❖💖❖💖
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি, বৃষ্টির একটানা
ভিতরে- বাহিরে দু’জনের হেঁটে যাওয়া;
ভালোবাসা মানে ঠান্ডা কফির পেয়ালা সামনে
অবিরল কথা বলা;
–রফিক আজাদ
💖❖💖❖💖
💙••✠•💠❀💠•✠•💙
কী মোহিণী দৃষ্টি দিয়ে
রমণ করলে হৃদয় আমার
এক পলকের আবেশ যেন
খুলে দিল মনের দুয়ার।
–মুসলেহ উদ্দীন
💙••✠•💠❀💠•✠•💙
S
╔━💠✦🌷✦💠━╗
ভয় নেই
আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী
গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে
মার্চপাস্ট করে চলে যাবে
এবং স্যালুট করবে
কেবল তোমাকে প্রিয়তমা।
–শহীদ কাদরী
╚━💠✦🌷✦💠━╝
✺
✺━♡︎✺
✺━♡︎❤️♡︎━✺
✺━♡︎🔸💠🔸♡︎━✺
বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুনা বলেছিল,
যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে
সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ হবে।
–সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
✺━♡︎🔸💠🔸♡︎━✺
✺━♡︎❤️♡︎━✺
✺━♡︎━✺
✺
╔━━❖❖❤️❖❖━━━╗
সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা :
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;
–জীবনানন্দ দাশ
╚━━❖❖❤️❖❖━━━╝
2.গভীর প্রেমের কবিতা
গভীর প্রেমের কবিতা হোক বা ভালোবাসার কবিতা। কবিতা লিখতে বা পড়তে কে না ভালোবাসে, কবিতা পড়ে আমাদের অদ্ভুত এক সুন্দর অনুভূতি হয় মনের মধ্যে। “ভালোবাসা” কথাটি বড়ই অদ্ভুত। ভালোবাসা আবেগ-অনুভূতি-মায়া দিয়েই তৈরি হয়। আমরা আমাদের প্রতিটি প্রিয়জনকেই ভালোবাসি কিন্তু আমাদের মনের মানুষ হয় একজন।
9টি গভীর প্রেমের কবিতা তুলে ধরা হলো-
১.কবিতার নাম: হৃদয়ের বাঁধন
যে কথা বলব বলে একান্তে তোমাকে ডেকেছি
যত্নে গেঁথেছি ফুলের রাশি
পরিয়ে দিয়েছি তোমার ওই এলো চুলে
আজ তোমার চোখে আমি আমাকে দেখেছি।
যে কথা বলবো বলে তোমারে আপন করেছি
এই হৃদয়ে তোমার আসন করেছি
অনাগতের অসম্ভবকে স্বপ্ন করেছি
আজ আমার দুই হাত তোমার হাতে রেখেছি|
যে কথা বলবো বলে যতনে হৃদয়ে রেখেছি
অশ্রু আবেগের বাঁধ দিয়েছি
হৃদয় তারে তোমার নামের যে সুর
যে গান আমি রাত দিন গুনেছি|
যে কথা বলবো বলে আজ তোমারে ডেকেছি
তবুও মুখ পানে চেয়ে ও জানালে জেনেছি
শব্দ সাজিয়েছি কত দিন ধরে,
সে কবিতা আজ তোমারে বলেছি।|
নিজেরে হারিয়ে আমি তোমারি পেয়েছি
হৃদয়ের বাঁধনে তোমারে বেঁধেছি
যে কথা বহু কাল আমি নিজেরে কহেছি
সে কথা আজ আমি তোমারে বলেছি
২.কবিতার নাম: হারানো ভালোবাসা
কিছু কিছু কথা যা চিরদিন নীরবে রয়ে যায়
কিছু কিছু ব্যথা যা কখনো হার মানিতে না চায়
কিছু কিছু স্মৃতি যা সদাই ভুলে যেতে চাই
কিছু কিছু কথা যা কুম্ভ মনে নাহি পরাজয়|
তাও চলেছি পথেই জীবনে জানি নেই আলো
বলিতে পারিনা মুখে তবু যাই থাক ভালো
জীবনের স্রোতে যে মায়া ছাড়িলে সাথে
তারই মাঝে মিশে আছি আমি
যদি অন্তর দিয়ে কভু দেখো
যে প্রদীপ নিভে গেছে আঁধারে
আগুনে না ভালোবাসা দিয়ে তা জ্বালো।
.৩.কবিতার নাম: তোকে ছাড়াই
জানি, তোকে ছাড়াই আমার কেটে যাবে কয়েকটা বছর, কয়েকটা যুগ
তোকে ছাড়াই-
শুনতে পাব ভোরের আকাশে উড়ন্ত পাখির কলরব-
দেখতে পাবো ধুধু করা মাঠের পাশে বয়ে চলা যৌবনা নদী
তবুও,
আমি হারিয়ে যাব তোকে খোঁজার ছলে,
নিরুদ্দেশের দেশে।
জানি,
এক টুকরো ভালোবাসা খুঁজে পাব দূর আকাশের নিচে-
তারার মাঝে গাংচিলেরা এসে নিয়ে যেতে চাইবে,
দিগন্তের ওপারে!
শুভ্র বরফের মাঝে কোন এক এক্সিমোরা আমাকে নিয়ে গান লিখবে।
তবুও,
তোকে ভুলবো না কোনদিন, শুধু একটিবার তোকে ছুঁয়ে দেখার আশায়।
তোর অপেক্ষায় চাতক হয়ে মরতে চাই আমি-
তোর জন্য আমার চির বসন্তের দেশে যাওয়ার স্বপ্ন ঘুচে যাবে।
তোর জন্য হয়তো বা কষ্ট আর বেদনারা হবে আমার প্রতিবেশী।
তবুও,
স্বপ্নে বিভোর হয়ে উদ্ভ্রান্ত মেঘের সাথে দল দেব না আর,
শুধুই তোকে চাইবো আর বলব একবার বেড়াতে-
এসো সুখ! আমার ঘরে।
.৪.কবিতার নাম: কৈশোরের ভালোবাসা
জীবনের মধ্যাহ্নে এসে যখন ভাবি বসে একা
স্মৃতির অতলান্ত হতে ভেসে আসে পুরনো দিনের কথা।
কত শত শৈশবের স্মৃতি নিয়ে কাটানো মধুর বেলা
হারিয়ে গেছে কত আজ সময় স্রোতে
বর্তমান হয়ে গেছে যা অতীতের হাতে
হৃদয় বিদ্ধ হয় শৈশবের পুরনো স্মৃতির তীরে
ইচ্ছে করে যেতে আবার শৈশবের পথে ফিরে|
এ ফেরা হবেনা অনন্তকাল
তবুও মনের মাঝে রয়ে যাবে এই ফেরার বাসনা চিরকাল।
৫.কবিতার নাম: অন্ধ প্রেম
অতীতের নেপথ্য হইতে
অযাচিত করুণার মতো,
এসেছিল হাসিতে হাসিতে।
ভুলাইতে পথক্লেশ যত|
কি জানি কি রহস্য জড়িত
এই অন্ধ মানব জীবন!
কোন দিব্য প্রেমে নিয়ন্ত্রিত
পর কেন হয় গো আপন
অযাচিত অতিথির কাছে
মুক্ত করি হৃদয় ভান্ডার
সুখ দুঃখ সঞ্চিত যা আছে
সমাদরে দিল উপহার|
নিরাশায় হয়ে প্রতি হত
তব পাশে আসিনো যখন,
মায়াময়ী জননীর মতো
স্নেহাঞ্চলে করিলে ব্যঞ্জন|
যদি এই আশ্রিতে তোমার
হারিয়েছো স্নেহের নয়নে,
তবে এরে ভুলিও না আর
আর জন্মান্তরে যুগ আবর্তনে|
৬.কবিতার নাম: হৃদয়ের ভালোবাসা
অন্তরে আলো জ্বেলে রেখো-দৃষ্টিকে গেছ শুধু আঁধারে তে ঢেকে
নিজেকে প্রশ্ন করে দেখনা, যার নাম তুমি আর লেখ না।
কেন তাকে ধরে আছো হৃদয়ে বিদায়ের পথ কেন ছাড়োনি
কি তার জবাব দেবে যদি বলি আমি কি হেরেছি
তুমিও কি একটুও হারোনি-
তুমি অনেক যত্ন করে আমায় দুঃখ দিতে চেয়েছ আমি দিতে পারিনি|
যে পথে আর কোনদিনও ফেরা হবেনা
সেই পথ ধরে আর হাঁটতে যেও না।
সেখানে পাবে শুধু হৃদয় বিদির্ণ করা ক্ষত
রয়ে যাবে এই ব্যথা চিরত|
৭.কবিতার নাম: গোপনে ভালোবাসা
আমার দেওয়া ফুলে ধুলো যদি লাগে ভুলে
আমার কথার কুসুম ম্লান হবে না কোনো কালে,
জীবনের যত অভিমান ভুলায়ে তুমি-
ছুঁয়ে দিও আমারে তোমার কোমল হাতের ডালে|
তোমাকে না দেখে আমি তোমার ছবি আঁকতে পারি,
তোমার সাথে না দেখা করে আমি তোমার ব্যথা অনুভব করতে পারি,
আমি তোমায় এতটাই ভালবাসি যে!
তোমার মন খারাপে আমি আমার চোখে জল দেখাতে পারি|
৮.কবিতার নাম: বিচলিত হৃদয়
আকাশে বহমান এ ধূমকেতু যে আগুনের
যে আগুন তীব্র প্রেমাস্ফিতের ফল|
আকাশের হৃদয়ে চলেছে ধেয়ে
পৃথিবীর বুকে জল হয়ে আছড়ে পড়বে
এতে তার বিরহ বেদনার বিগলিত অশ্রু জল|
চির বিচলিত হৃদয় শান্ত হবে
প্রেমের অনুভূতি জাগবে চিরতরে হৃদয়|
৯.কবিতার নাম: স্নেহের পরশ
যখন ভালোবাসা বহু পথ ঘুরে
চলে যায় দূর হতে দূরে
বন্ধুর দরজাতে যত কিছু করাঘাত
যায় বিফলে,
কে যেন হঠাৎ বলে
আয় কোলে আয়,,
আমি তো আছি, ভুলিনি তা কি
মা গো,সে কি তুমি?
3.অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা
আমরা সম্প্রতি সময়ের বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা সংগ্রহ করেছি। এই ভালোবাসার কবিতা গুলো নতুন প্রজন্মের কবিরা লিখেছেন। আমার বিশ্বাস যারা অসম্ভব সুন্দর প্রেমের কবিতা খুঁজছেন কিংবা ভালোবাসার কবিতা পড়তে পছন্দ করেন, তাদের কাছে এই 15টি কবিতা অবশ্যই পছন্দ হবে।
সেরা 15 টি ভালবাসার কবিতা
তোমার একটা নাম থাকুক আমার দেয়া
মেঘের মেয়ে, নদী কিংবা জলজ খেয়া
আমার দেয়া একখানা নাম তোমার থাকুক
না হয় আমি হারিয়ে গেলেও
একলা একা সন্ধা তারা
সেই নামেই তোমায় ডাকুক।
তোমার-জন্য কাপছে কেন মন
কাঁদছে কেন শূণ্য চোখের কোণ
তোমার জন্য বুকের গহিন জুড়ে
আমার সময় নিঃশব্দ, নির্জন।
এলোকেশী মেয়ে কার পথ চেয়ে, মেলেছিলে ঐ কেশ
পথ চাওয়া শেষে, এসেছিল কী সে ছুয়ে মেঘ অনিমেষ।
এলোকেশী মেয়ে, মেঘবেলা ধেয়ে, এসেছে কী তার ঢল
তুমি কার জলে, তোমার ভেজালে ভাসালেই প্রেমাচল!
দেখেনিতো চেয়ে, এলোকেশী মেয়ে, আর কেউ ছিল তার
কী বিষাদে পুড়ে, তার বুক জুড়ে, কেঁদেছে বিরহী সেতার।
আমার তকেই ভাবা ভোর
চোখে শাপলা-শালুক ঘোর।
থাকুক শাপলা-শালুক ঘোর
থাকুক টুপ জেলেদের ভোর
থাকুক ছন্নছাড়া রাত
তর হাতের ভীতর হাত।
থাকুক তর পায়েতে পা
তুই অন্যতো কেউ না।
তুমি হলে রোদ
হোক অবরোধ
শহরের মেঘে।
তুমি হলে জল
স্নান অবিরল
তোমাকেই মেখে।
আর যদি কেউ
হতে চায় ঢেউ
অবছাড়া চোখে।
ভেকে যাক আজ
অচেনা জাহাজ
তুমি নেই শোকে।
মুক্তো কী জানে, কী বেদনা পুষে রাখে ঝিনুক বুকে
কতটুকু মেঘ ভার বৃষ্টি অসুখে!
তুমি জানো কী, কতটুকু হয়ে গেলে আমি শূণ্য
তুমিও তোমার মতো হলে পূর্ণ।
কিছুটা মেঘের মতো ছাড়া যদি নামে
কিছুটা বিষাদ আসে বিকেলের খামে
সকালের মিহি রোদে, রাত হয়ে যায়
জেনে নিও, খুঁজে আর পাবে না আমায়।
বিকেল ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো চোখ
জেগে থাক জানালায়, সন্ধা আসুক
বসুক খানিক পাশে লুকিয়ে অসুখ
রাত্রির কিছু তারা ব্যথায় খসুক।
রাত্রি ঘুমিয়ে গেলে না ঘুমানো ক্ষত
জেগে থাকা আকাশের তারার মত।
শুনছো মেয়ে
এই যে ধূসর মেঘের খামে, বর্ষা নামে
জমছে কত ফুলের রেণু চুলের ভাঁজে।
দখিন হাওয়া হঠাৎ এসে, আঁচল ভাসায় সুবাস মেখে
জলের কণা আলতো করে গাল ছুঁয়ে যায়।
ছুতে পারো, তুমিও খানিক?
শুনছো মেয়ে
একটা চিঠি ঘুরে বেড়ায় এই শহরে, ঠিকানা নেই
সেই চিঠিটার বুকের ভেতর জমছে বথা সঙ্গোপনে
বাতাস ভারী দীর্ঘশ্বাসে, কি যায় আসে!
শুনছো মেয়ে
এই শহরে একটা বুকে
তোমার নামে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা নামে!
4.বিখ্যাত প্রেমের কবিতা
কবিতা পড়তে কে না ভালবাসে। আর প্রেমের কবিতা হলে তো কথাই নেই। জীবনে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে জীবনে একবারও প্রেমে পড়েনি। যদি পাওয়া যায় তবে সেটা হবে অস্টম আশ্চর্য। প্রেমের আবেদন চিরন্তন সাথে প্রেমের কবিতারও। তাই যারা কবিতা ভালবাসেন তাদের জন্য আজকে নিয়া আসলাম বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি বিখ্যাত প্রেমের কবিতা এক পাতায় সেরা প্রেমের কবিতাগুলো পড়তে আপনাদের ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।
১
অনেক ছিল বলার
কাজি নজরুল ইসলাম
অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাসতে।
পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আসতে।
আজকে মহাসাগর-স্রোতে
চলেছি দূর পারের পথে
ঝরা পাতা হারায় যথা সেই আঁধারে ভাসতে।
গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজকে।
কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায় বেলার সাঁঝকে।
আসতে যদি হে অতিথি
ছিল যখন শুকা তিথি
ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী চাঁদ হাসতে।
২
অনামিকা
কাজী নজরুল ইসলাম
কোন নামে ডাকব তোমায়
নাম-না-জানা- অনামিকা
জলে স্থলে গগনে-তলে
তোমার মধুর না যে লিখা।
গীষ্মে কনক-চাঁপার ফুলে
তোমার নামের আভাস দুলে
ছড়িয়ে আছে বকুল মূলে
তোমার নাম হে নিকা।
বর্ষা বলে অশ্রুজলের মানিনী সে বিরহিনী।
আকাশ বলে, তরিতে লতা, ধরিত্রী কয় চাতকিনী।
আষাঢ় মেঘে রাখলো ঢাকি
নাম যে তোমার কাজল আঁখি
শ্রাবণ বলে, যুঁই বেলা কি?
কেকা বলে মালবিকা।
শারদ-প্রাতে কমল বনে তোমার নামে মধু পিয়ে
বানীদেবীর বীণার সুরে ভ্রমর বেড়ায় গুনগুনিয়ে!
তোমার নামের মিল মিলিয়ে
ঝিল ওঠে গো ঝিলমিলিয়ে
আশ্বিণ কয়, তার যে বিয়ে
গায়ে হলুদ শেফালিকা।
নদীর তীরে বেনুর সুরে তোমার নামের মায়া ঘনায়,
করুণা আকাশ গ’লে তোমার নাম ঝরে নীহার কণায়
আমন ধানের মঞ্জরীতে
নাম গাঁথা যে ছন্দ গীতে
হৈমন্তী ঝিম্ নিশীতে
তারায় জ্বলে নামের শিখা।
ছায়া পথের কহেলিকায় তোমার নামের রেণু মাখা,
ম্লান মাধুরী ইন্দুলেখায় তোমার নামের তিলক আঁকা।
মোর নামে হয়ে উদাস
ধুমল হোলো বিমল আকাশ
কাঁদে শীতের হিমেল বাতাস
কোথায় সুদূর নীহারিকা।
তোমার নামের শত-নোরী বনভূমির গলায় দোলে
জপ শুনেছি তোমার নামের মুহহুমুর্হু বোলে।
দুলালচাঁপার পাতার কোলে
তোমার নামের মুকুল দোলে
কুষ্ণচুড়া, হেনা বলে
চির চেনা সে রাধিকা।
বিশ্ব রমা সৃষ্টি জুড়ে তোমার নামের আরাধনা
জড়িয়ে তোমার নামাবলী-হৃদয় করে যোগসাধনা।
তোমার নামের আবেগ নিয়া
সিন্ধু উঠে হিল্লোলিয়া
সমীরনে মর্মরিয়া
ফেরে তোমার নাম -গীতিকা।
৩
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
কাজী নজরুল ইসলাম
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,
অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
ছবি আমার বুকে বেঁধে
পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে
ফিরবে মরু কানন গিরি,
সাগর আকাশ বাতাস চিরি’
যেদিন আমায় খুঁজবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, –
জাগবে হঠাৎ চমকে!
ভাববে বুঝি আমিই এসে
ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
বেদনাতে চোখ বুজবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না,
ব’লবে সবাই – “সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?”
আসবে ভেঙে কান্না!
প’ড়বে মনে আমার সোহাগ,
কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!
প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি
অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি
ঘন ঘন মুছবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ –
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
প’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!
বুকের মালা ক’রবে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা
মুখের হাসি ঘুচবে –
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
৪
অতো স্বাধীনতা!
আবুল হাসান
অতোটুকু চায় নি বালিকা!
অতো শোভা, অতো স্বাধীনতা!
চেয়েছিলো আরো কিছু কম,
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!
অতোটুকু চায় নি বালিকা!
অতো হৈ রৈ লোক, অতো ভিড়, অতো সমাগম!
চেয়েছিলো আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী
৫
দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস
আবুল হাসান
‘অতবড় চোখ নিয়ে, অতবড় খোঁপা নিয়ে
অতবড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়ে
যত তুমি খুলে দাও কোমরের কোমল সারস
যত তুমি খুলে দাও ঘরের পাহারা
যত আনো ও- আঙুলে অবৈধ ইশারা
যত না জাগাও তুমি ফুলের সুরভি
আঁচলে আলগা করো কোমলতা, অন্ধকার
মাটি থেকে মৌনতার ময়ুর নাচাও কোনো
আমি ফিরবো না আর, আমি কোনো দিন
কারো প্রেমিক হবে না; প্রেমিকের প্রতিদ্ধন্দ্বি চাই আজ
আমি সব প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবো।
5.আবেগি প্রেমের কবিতা
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, প্রতিদিন বিভিন্ন ইউজারের লেখা আবেগের কবিতাগুলো পড়ে আমার নিজের মধ্যেই কেমন যেন কবি কবি ভাব চলে এসেছে। এর আগে কবিতা লেখা শুরু করলে, কবিতা লেখার ভাষা খুঁজে পেলাম না, কবিতার ছন্দ খুঁজে পেতাম না। কিন্তু আজ আমি আপনাদের নিকট আবেগের কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আশা করি, আমার আজকের কবিতা আপনাদের নিকট অনেক অনেক ভালো লাগবে।
অবসাদ
একেকটা রাত বড় অবসাদ
পাশ ফিরে দেখি চিলেকোঠা ছাদ
চোখ মেলে দেখি ভোর হল নাকি
মনে মনে কত কবিতা যে লিখি!
সব কিছু মূলে তোর কথা চুলে
তোর কথা ভেবে পায়রাটা ছুলে
কত গান ঝরে পড়ে পাখনায়
কত কথা বুকে লুকিয়েছি সুখে
বলি বলি করে বলা হয় নাই।
সেই সব কথা শুধু আমি তোর
চোখ খুলে দেখি হল নাকি ভোর
ভোর হলে ইবা কিবা এসে যায়
মনে মনে খেলা মন খেলে যায়।
কি যে একা লাগে, কত বড় রাত,
সব আছে তবু কি যে অবসাদ!
সব কিছু মানে অন্তর জানে
কবিতার খাতা টানি অভিমানে
কবিতা মানে তো সেই আমি তুই
চোখ দুটো মেলে পাশ ফিরে শুই।
এপাশ ওপাশ রাত কেটে যায়
মনে মনে খেলা মন খেলে যায় ।
ভালবাসিনা বলে দেই বালি বাঁধ
ভালোবাসা জেনো কত অপরাধ!
সেই অপরাধে আমি অপরাধী
ভালোবাসি ভালোবাসি গান বাঁধি।
যেই দিন তোকে খুব কাছে পাবো
এই সব গান কবিতা শুনাবো
সেই সব কথা, ফুল তরু লতা
স্বপ্নের পায়ে শেকল পরাবো।
দে কথা দে, রবি মোর সাথে
চোখ মেলে তোকে দেখি প্রতি রাতে
হাত মেলে যেই ছুঁতে যাই তোকে
কি যে অবসাদ শুন্যতা বুকে।
কি যে একা লাগে, কত বড় রাত
সব আছে তবু কি যে অবসাদ।
সব কিছু মানে অন্তর জানে
কবিতার খাতা টানি অভিমানে।
সে তোমার নয়
যে তোমাকে খুব কাছ থেকে দেখেছে,
সে তোমার নয়
দশ দিকে আদিগন্ত রঙধনু
আলোর বলয়
আমিতো অন্ধ ভিখারি
শত শত আলোক বর্ষ দুরে
অনায়েশে হেঁটে যেতে পারি
“আমার খোলা জানালায়
পাখি মানে তো কাক
থাক, ওরাও তো পাশে থাকে
নিঃশব্দে দুচোখ পুড়ে খাক
কাকের কণ্ঠ এখন আমায় ডাকে।।
জানালার ওই পাশে ভাঙ্গা এক বাড়ি
তার দেয়ালে জোরালো বট গাছ
শেকড় গুলো ইটের পাঁজর ধরি
ঝড় বাদলা সইছে বারো মাস।
কেমন করে কাটছে ওদের দিন
জমছে ধুলো বাড়ছে সবুজ পাতা
ওদের কাছে আমার কত ঋণ
অন্য কখন বলবো ওসব কথা।
জানলা খুলে আকাশ দেখি রোজ
কখনো মেঘ কখনো রোদ্দুর
পুরনো এক স্বপ্ন করি খোঁজ
আমি বাতাস নীলাভ সমুদ্দুর।
দুপুর হলে ছাদের টানা দড়ি
কোন মেয়েটা কাপড় টাঙায় এসে?
হলুদ সবুজ নীলের ছড়াছড়ি
হারিয়ে যায় ফুল পরীদের দেশে।
আমার চোখে নিত্য নতুন আকাশ
দুরের ছাদে নতুন কাপড় মেলে
বটের ডালে কাকের অবকাশ
জানলা খুলি নতুন কৌতূহলে।
আমরা”
শুধু তুমি চাইলেই
তুমি আর আমি মিলে
“আমরা” হয়ে যেতে পারি!
শুধু তুমি চাইলেই
ফেলে আসা দিন গুলোয়
আবার ফিরে যেতে পারি।
আমরা হয়ে উঠতে পারি আবার
তারুণ্যে উচ্ছল ঝগড়াটে যুগল
নাগরিক অসভ্যতায় অভিমানী পাগল।
অনায়েশেই আমরা হয়ে যেতে পারি
মধ্যবিত্তে সুখী ছাপোষা সংসারী
ঘর দোর ছাই পাশ – যাই রাঁধি তাই খাস
বলাকায় সিনেমা দেখি – বছরান্তে দুটি শাড়ি
হিসেবের সংসারে মাস শেষে টান পরে
তবু ওরা যেহেতু পারে, আমরাও পারি।
হোক না এমেটিসান, তোমাকে মানায় ভীষণ
আমি রাজ পুত্র হলে, তুমি ওতো অপ্সরী!
সামাজিক রীতি নীতি, ধর্ম ও রাজনীতি
ওই সব বুঝি কম, বুঝি প্রেম বুঝি নারী
অলি গলি পার করে- দু কামরার ভাড়া বাড়ি
বারান্দার টবে গোলাপ- চায়ের কাপে জমবে আলাপ
কাটবে সময় কাব্য গানে- বসন্ত সুর বাজবে প্রাণে
মান অভিমান খন অনুখন – ভালোবেসে কাটবে জীবন
তোমার আমার যা প্রয়োজন- রোজ বিছানায় সেই আয়োজন।
তুমি আমার পদ্মাবতী- তুমি আমার প্রথম নারী
তুমি যদি ভাল বাসতে পারো – আমি ও তো বাসতে পারি!
6 .তীব্র প্রেমের কবিতা
কবিতা আমাদের অনেকেরই পছন্দের জায়গা। কবিতা লিখতে কিংবা পড়তে আমরা অনেকেই ভালবাসি। তা যদি হয় ভালোবাসার কবিতা তাহলে তো আর কথাই রইল না। যদি আপনার পছন্দের মানুষ আপনাকে ভালো না বাসে তাকে মিষ্টি একখানা প্রেমের কবিতা নিবেদন করতে পারেন, ততক্ষণাৎ তার ভালোবাসা আপনি পাবেন।
যে কবিতা আপনাদের ভালোবাসার মানুষকে খুশি রাখবে এবং সব সময় সন্তুষ্ট করতে পারবে। ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে এক নিমিষেই কিভাবে ভালোবাসা পাবেন সেই তীব্র প্রেমের কবিতা আজকে আপনাদেরকে উপহার দেব।
নিষ্পাপ ভালবাসা
পাহাড় থেকে নেমে এসে দাঁড়ালে, পর্বতের পাশে
মেঘ লেগে সারা গায়ে, ঠোঁটে।
হিমালয়ের নীল আকাশ মনের সাথে কথা বলে।
এসব সবই আমাদের মনের খেলা,
ঠিক যেমনই ভালোবাসার মানুষ নিত্যদিন প্রতিটি মানুষের সাথে খেলা করে!
যার স্বাভাবিক শুনলেও, আমাদের মন কাঁদিয়ে দেয়।।
তোমার অগোছালো দৃষ্টি,
আমায় নয় স্বর্গিক। ভালবাসার দিকে নিয়ে যায়।
ভোর হয়েছে স্বর্গ বিদীর্ণ করে দেয় সুদীর্ঘ সকাল।।
সাদা পারিজাত হতো না মনে হয়।
তোমাকে দেখার পর মনে হল এরপর থেকে ফুটবে।
মনে হওয়াও নয়| নয় অবভাস।
নিশ্চিত প্রত্যয় জানি
ফুটে থাকবে পর্বতে পর্বতে।
মানুষের থেকে দূরে,কচ্চিত দেখা মিলবে অনেক আরোহনে।
এসব না শুনেও তুমি হাসছো, স্কাফটা দুলছে। আমার হলো না ফেরা ।
আপাতত এক বুক ভরা সাহস নিয়ে সাঁতার কাটছে রাজহাঁস।[প্রেমের কবিতা ক্যাপশন ]
প্রেমিক
সে একদিন গাছ হয়েছিল..
শহরের অশ্রুত শব্দের মত
মস্ত মস্ত কুঠোর এসে তার হাত পা শিকল ভেঙে দিল-
তাই তার সমস্ত নীড় ভেঙে গেল।
সে একদিন পাখি হয়েছিল..
উড়তে উড়তে সে দেখেছিল
তার প্রেমাস্পন্দনের চোখে অন্য কারো ঠোট, ঠোঁটে অন্য কারো গাল-
তারপর তার সব পালক ঝরে পড়ে গেল।
সে একদিন বাঘ হয়েছিল,
মস্ত বড় এক হিংস্র বাঘ।
বহু সন্তর্পণে নজর রাখার শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পরেই..
সে তার চোখে দেখেছিল আতঙ্ক
রোদের কানে কানে ফিসফিসিয়ে কথা
দূরত্ব তোমার আমার মাঝখানে হাজারো
আর নয়ন ভরা অশ্রু।
তাই তার সমস্ত থাবার নখ এখন খসে গেছে।
প্রিয়জনের জন্য তার হৃদয় হয়েছে এখন ক্ষতবিক্ষত
যে হৃদয়ে রয়েছে এখন কান্না ভরা হিংস্রতা।
তীব্র ভালোবাসা/প্রেমের কবিতা ক্যাপশন
চেয়ে আছি আমি দূর আকাশে, রাতের তারা দেখি
তুমি ছাড়া এ জীবনটা আমার শুধুই দিশেহারা।
আমাকে তুমি যতই দূরে রাখো তবুও কাছে আসবো,
কষ্ট তুমি যতই দেবে, আমায় তোমাতেই ভালোবাসবো।
চেয়ে দেখো দূর আকাশে চলছে অনেক তারা
প্রথম দেখায় তোমাকে আমার লেগেছে অনেক ভালো
তোমায় নিয়ে আমি চলে যাব ওই বহুদূরে
শুধু আমায় জায়গা দিয়েও তোমার মনের মনিকোঠায়।
স্বপ্ন আমি তোমায় নিয়ে বুকের মাঝে রাখি,
দিবানিশি তোমার ছবি আমার মনেই আঁকি।
চাঁদ হয়ে তুমি জ্বলে থাকবে, আমার মনের ঘরে
ভালোবাসা দিয়ে তোমায় রাখবো যতন করে।
হাতে হাত রেখে বলো,কোনদিন ছেড়ে যাবে নাকো
তোমায় ছাড়া এই জীবনে আমার কিছু আর নাইকো।
কাজে আমার মন বসে না, তোমার কথাই ভাবি
তুমি আমার জীবন মরণ তুমি আমার সাথী।
এই মনেতে তুমিই থাকো আর থাকে না কেউ
আর শুধু তোমার জন্য বুকের মাঝে অকুল ঢেউ।
আজ আমায় তুমি কথা দাও যাবে না তো দূরে….
তুমি দূরে গেলে আমি হারাবো চিরদিনের তরে।
প্রেম আগুনে জ্বলে পুড়ে আমি যাচ্ছি মরে
কখন তুমি যতন করে, রাখবে আমায় মনের ঘরে।
আর কতকাল থাকবো একা গুনবো কতদিন
ভালো থাকতে পারিনা আমি, কাটছে না আমার দিন
কখন দিবে তুমি সাড়া, আসবে আমার কাছে।
শেষের বানী!
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের প্রেমের কবিতা ক্যাপশন লেখাটি এই পর্যন্তই।
এই প্রেমের কবিতা ক্যাপশন শুধু শব্দের খেলা নয়, এটি একটি হৃদয়ের ভাষা। এটি সেই অনুভূতির প্রকাশ, যা সরাসরি মনকে ছুঁয়ে যায়। যুগে যুগে কবিরা তাদের ভালোবাসাকে কবিতার মাধ্যমে রূপ দিয়েছেন, যা আমাদের হৃদয়ে আজও ধ্বনিত হয়। আমরা যখন সেই কবিতার লাইনগুলো ক্যাপশনে ব্যবহার করি, তা আমাদের ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রতিফলন হয়ে ওঠে। প্রতিটি ক্যাপশনই ভালোবাসার একেকটি ছোট্ট গল্প, যা আমাদের জীবনের অনুভূতিকে আরও গভীর ও অর্থবহ করে তোলে।
আমরা শুধু আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করি না, বরং একে অপরের হৃদয়ে একটি চিরস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করি।
আমাদের লেখাটি কেমন লেগেছে নিচে কমেন্টস বক্সে জানাতে ভুলবেন না। লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ!